সাংবাদিকতায় নাম লিখিয়েছিলেন, এখন নিজেরাই খবর

Bortoman Protidin

১৭ দিন আগে রবিবার, মে ১৮, ২০২৫


#

সাংবাদিক তুষার হাওলাদারের বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ার কথা ছিল, এদিকে আবার বাসার মূল গেইট বন্ধ হয়ে যায় রাত ১১টাতেই। তাই ছেলের যাতে বাসায় ঢুকতে সমস্যা না হয় সেজন্য বাড়িওয়ালার কাছ থেকে চাবি নিয়ে রেখেছিলেন তুষারের বাবা। রাত থেকে সকাল পর্যন্তও তুষারের মোবাইলে ফোন দিয়ে সাড়া পাননি তার বাবা। পরে পুলিশের ফোনে জানতে পারেন, ছেলের লাশ পড়ে আছে মর্গে।

রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজে অগ্নিকাণ্ডে তুষার হাওলাদারের সঙ্গে মারা যান সাংবাদিক অভিশ্রুতি শাস্ত্রীও।বছর চব্বিশের এই দুই সাংবাদিকের মধ্যে তুষার ফেব্রুয়ারি মাসেই দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ ছেড়ে কেস্টারটেক নামে একটি অনলাইন মাল্টিমিডিয়ায় কাজ শুরু করেন।

আর শ্রাস্ত্রীর দ্য রিপোর্ট ডট লাইভ ছেড়ে যোগ দেওয়ার কথা ছিল আরেকটি সংবাদমাধ্যমে। দুজনই সব ছেড়েছুড়ে পাড়ি দিয়েছেন না ফেরার দেশে।সাবেক দুই সহকর্মীর মৃত্যুর খবর পেয়ে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভের কয়েকজন সাংবাদিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে ভিড় করেন শুক্রবার সকালে। তাদের একজন গোলাম রাব্বানী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে এই তথ্য জানান।

তুষারের বাবা দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে লাশ বুঝে নিয়ে গেছেন। তবে দুপুর ১টা পর্যন্ত শাস্ত্রীর লাশ নিতে কেউ আসেনি বলে জানান রাব্বানী।

তিনি বলেন, “বার্ন ইন্সটিটিউটে আমাদের সহকর্মী শাস্ত্রীর লাশ আমরা শনাক্ত করেছি। শাস্ত্রির বাড়ি কুষ্টিয়ায়। কিন্তু তার পরিবারের ফোন নম্বর আমাদের কারো কাছে নাই। তাই যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না।”শাস্ত্রী ইডেন কলেজের ছাত্রী ছিলেন জানিয়ে রাব্বানী বলেছেন, কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।

তুষার সাংবাদিকতায় পড়াশোনা করেছেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি থেকে, ঢাকায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন গোড়ানে; তার গ্রামের বাড়ি ঝালকাঠির কাঠালিয়া গ্রামে।

তুষারের বাবা দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার চাকরি করেন রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে। কাজ শেষে প্রায় প্রতিদিনই ছেলে আর তিনি একইসঙ্গে বাসায় ফিরতেন। অফিসের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কারণে গতকাল অফিসে তুষারের ব্যস্ততা ছিল বলে জানান দীনেশ চন্দ্র হাওলাদার।

“রাত ৮টায় তুষারের সঙ্গে শেষবার কথা হয়েছিল, জানালো বাসায় ফিরতে দেরি হবে। সেজন্য বাড়িওয়ালার কাছ থেকে চাবি নিয়ে রেখেছিলাম। ১১টা পর্যন্ত জেগেও ছিলাম। বেশ কয়েকবার ফোনও করেছিলাম। আজকে সকাল পৌনে ৭টার দিকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু কেউ ধরেনি। পরে ওসি ফোন দিয়ে বলে ‘আপনি কি তুষারের বাবা?’ জবাব দিতেই তিনি আমাকে তাড়াতাড়ি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে যেতে বলেন।”

বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামের ভবনটিতে আগুন লাগে। প্রায় দুই ঘণ্টার চেষ্টায় রাত ১১টা ৫০ মিনিটের দিকে আগুন নিভিয়ে আনতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস।

এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন ৪৬ জন। সবার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে রাখা হয়। সকাল থেকে লাশের পরিচয় নিশ্চিত করে ৩৫ জনের মরদেহ স্বজনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়। তবে তাদের মধ্যে ছয়জনকে আর চেনার উপায় নেই। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় শনাক্ত হলে তাদের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী নিহতের এই সংখ্যা জানিয়ে বলেছেন, আহত ১২ জনের মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটে ১০ জন ভর্তি আছেন আর ঢাকা মেডিকেলে আছে দুইজন। এই ১২ জনের প্রত্যেকের শ্বাসনালী পুড়ে যাওয়ায় তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন।

global fast coder
ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

সর্বশেষ

#

মাইক্রোক্রেডিটই ব্যাংকিংয়ের ভবিষ্যৎ: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

#

সাম্য হত্যাকাণ্ডে দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

#

শিক্ষার্থীদের নতুন বিশ্ব গড়ার স্বপ্ন দেখার আহ্বান জানালেন প্রধান উপদেষ্টা

#

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এপিডিকে ফুলেল শুভেচ্ছা দিয়ে অভিনন্দন ও কৃতজ্ঞতা জানানো হয়

#

মিশরের সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

#

ক্রীড়াঙ্গনকে সক্রিয় করতে মন্ত্রণালয় বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে : উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ

#

নিষিদ্ধের বিধান যুক্ত করে সন্ত্রাসবিরোধী অধ্যাদেশ অনুমোদন

#

আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্তে আনন্দিত বিএনপি : মির্জা ফখরুল

#

যমুনায় জরুরি বৈঠকে উপদেষ্টা পরিষদ

#

এই প্রজন্মই দেশের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রের রক্ষাকবচ : তথ্য উপদেষ্টা

Link copied