কোরবানি ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত কামার শিল্পীরা

Bortoman Protidin

১০ দিন আগে সোমবার, জানুয়ারী ২০, ২০২৫


#

হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ঈদের কোরবানি দিন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই বাড়ছে কামার শিল্পীদের ব্যস্ততা। পশু কুরবানিতে ধারালো দা, বটি, চাপাতি ছুরি তৈরি করছে হরদম। তাই যেন দম ফেলার সময় নেই কামারদের। নাওয়া-খাওয়া ভুলে কাজ করছেন কামাররা। কাক ডাকা ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করে যাচ্ছেন তারা। সারা বছর তেমন কাজ না থাকলে কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে কয়েক গুণ ব্যস্ততা বেড়ে গেছে কামারদের। ঈদকে সামনে রেখে ক্রেতারাও ভিড় জমাচ্ছে কামার পট্টিতে। বিক্রিও হচ্ছে চড়া দামে। কামার শিল্পীরা জানান- পশুর চামড়া ছাড়ানো ছুরি ১০০-২০০, দা ৩০০-৫৫০ টাকা, বটি ৩৫০-৬০০, পশু জবাইয়ের ছুরি ৫০০ -১৩ হাজার টাকা, চাপাতি ৬০০-৯০০ শত টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

কামার শিল্পীরা বলেন, কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লার দাম শ্রমিকের দাম বেড়ে গেছে।

তবে ক্রেতারা বলেন, ঈদ উপলক্ষে দা, চাপাতি ছুরির দাম বেশি নেয়া হচ্ছে।

উপজেলার বোরহান পুর গ্রামের এনাম মিয়া  (ক্রেতা) জানান, আমি একটি চাপাতি ৬০০ টাকায় কিনেছি। ছাড়া ছুরি, দা, জবাই করার ছুরিসহ ৪টি জিনিস রিপেয়ারিং করার জন্য এসেছি।

জাবেদ মিয়া (ক্রেতা) জানান,  কুরবানির ঈদের সময় কসাই পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ে। তাই একটা নতুন বটি কিনেছি, আর পুরনো চাপতি, দা শাণ দিয়ে নিচ্ছি নিজেরাই কাজে লেগে যাব। গেল বছরের চেয়ে বছর পুরনো জিনিষ শাণ দিতে মানভেদে ৩০-৫০ টাকা বেশি নিচ্ছে।  ঈদ যতই এগিয়ে আসছে দা/ছুরি কিনতে গ্রাহকদের আনাগোনাও বাড়ছে।

কামারদের সঙ্গে  কথা বলে জানা যায়- কুরবানির ঈদ উপলক্ষে তাদের বেচাকেনা দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তবে ঈদের দুদিন আগে বেশী বেচাকেনা হবে। কুরবানির ঈদ উপলক্ষে কয়লা শ্রমিকের মূল্য বেড়ে গেছে। দুই মাস আগেও প্রতি বস্তা কয়লার দাম ছিল ৫শ- ৫৫০ টাকা। সেই কয়লা এখন ৯শ- হাজার টাকায় কিনতে হচ্ছে। তাই তারা চাপাতি, ছুরি দা দাম একটু বেশি নিচ্ছেন।

নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন বাজার কামার পাড়া ঘুরে দেখা যায়- লাল আগুনের লোহায় পিটুনিতে সরগরম হয়ে উঠেছে কামার পল্লী গুলো। টুংটাং শব্দের ছন্দে তালমিলিয়ে চলছে হাতুড়ি আর ছেনির কলাকৌশল। ঈদুল আজহার আর মাত্র দিন বাকি আছে, তাই কামার পল্লী গুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে। আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে উপজেলার প্রত্যন্ত আঞ্চলে কামার পল্লীগুলো ব্যস্থ সময় পাড় করছে। ঈদের বিপুল চাহিদার জোগান দিতে মাস খানেক আগে থেকেই তারা কাজ শুরু হয়েছে।

উপজেলার কামার বিক্রেতা  মুকুল দেব প্রনেশ দেব জানান- কাজের ব্যস্থতায় নিশ্বাস ফেলার সময় নেই। তারা পুরোদমে ঈদুল আজহার আগ পর্যন্ত কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানান।

global fast coder
ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  
Link copied