চাঞ্চল্যকর “শিশু জয়ন্ত হত্যা” মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত প্রধান আসামী গ্রেফতার
২৮ দিন আগে শুক্রবার, অক্টোবর ৩১, ২০২৫
 
                                    মৃত্যুদণ্ডের
রায় ঘোষনার ৩৬ ঘন্টার মধ্যে রূপগঞ্জের চাঞ্চল্যকর “শিশু জয়ন্ত হত্যা” মামলায় মৃত্যুদণ্ড
প্রাপ্ত প্রধান আসামী শাহিন (৩০)  র্যাব-১১,
সিপিএসসি কোম্পানী, নারায়নগঞ্জ কর্তৃক গ্রেফতার।
র্যাব-১১, সিপিএসসি কোম্পানী, নারায়নগঞ্জ ৭ মার্চ তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানা এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে রূপগঞ্জের চাঞ্চল্যকর “শিশু জয়ন্ত হত্যা” মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত প্রধান আসামী শাহিন (৩০) গ্রেফতার করেন।
মামলার
সূত্রে জানা যায় যে, গত ৫ জুন ২০১৮ সালের শিশু জয়ন্তকে অপহরণ করে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ
দাবি করে আসামিরা। ভিকটিম শিশু জয়ন্ত চন্দ্র দাস (১০) রূপগঞ্জের বানিয়াদি এলাকার চৈতন্য
চন্দ্র দাসের ছেলে। সে স্থানীয় শিশু মেলা কিন্ডারগার্টেন স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র
ছিল। ২০১৮ সালের ৬ই জুন মুক্তিপণের ৫ লাখ টাকা না পেয়ে স্কুলছাত্র জয়ন্ত চন্দ্র দাস
(১০)কে শ্বাসরোধে হত্যা করে অপহরণকারীরা। অপহরণের ৬ই জুন ২০১৮ ইং তারিখ উপজেলার বানিয়াদি
এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ি থেকে হাত-পা ও মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই স্কুলছাত্রের মরদেহ
উদ্ধার করা হয়। পরে এই ঘটনায় ভিকটিমের বাবা চৈতন্য চন্দ্র দাস বাদী হয়ে রূপগঞ্জ থানায়
একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এই ঘটনায় দায়ের করা মামলায় ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন
বিজ্ঞ আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। গত ৫ মার্চ ২০২৪
ইং তারিখ দুপুরে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক উম্মে সরাবন
তহুরা এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় একজন আসামী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। গ্রেফতারকৃত
আসামী শাহিন (৩০) সহ বাকি ০২ জন আসামীরা পলাতক ছিলেন। মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলো- রূপগঞ্জের
মঙ্গলকালী এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে শাহীন (৩০), বলাইনগর এলাকার জাহাঙ্গীরের ছেলে
আলমগীর (২৭), বনিয়াদি এলাকার রাজকুমারের ছেলে অনিক চন্দ্র দাস (২৭) ও একই এলাকার সন্তোষ
চন্দ্র দাসের ছেলে আশিক চন্দ্র দাস (৩০)। এদের মধ্যে অনিক চন্দ্র দাস রায় ঘোষণার সময়
উপস্থিত ছিলেন।
এই
নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সাথে জড়িত মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাতক প্রধান আসামীদেরকে গ্রেফতারের
লক্ষ্যে র্যাব-১১, সিপিএসসি, নারায়ণগঞ্জ এর একটি চৌকশ গোয়েন্দা টীম যথাযথ গুরুত্বের
সাথে তার অবস্থান সনাক্ত পূর্বক গ্রেফতারের চেষ্টা করেন। পরবর্তীতে সুনির্দিষ্ট তথ্যের
ভিত্তিতে চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডে জড়িত মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত পলাকত প্রধান আসামী শাহিন
(৩০), পিতা-সিরাজুল ইসলাম, সাং-মঙ্গলখালী, থানা-রূপগঞ্জ, জেলা-নারায়ণগঞ্জ’কে সনাক্ত
ও তার অবস্থান নিশ্চিত হয়ে ০৭/০৩/২০২৪ ইং তারিখ নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানা এলাকা
হতে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতারকৃত
আসামী’কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার নিকট হস্তান্তর
করা হয়েছে।
 
                 
                                                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                             
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                        .jpeg) 
                                                         
                                                         
                                                         
                                                         
                                                        