চলন্ত সিএনজিতে নারীর চিৎকার, চালক আটক
১ ঘন্টা আগে বুধবার, নভেম্বর ৫, ২০২৫
ময়মনসিংহের নান্দাইলে চলন্ত সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভেতর থেকে এক নারীর ‘বাঁচাও বাঁচাও’ চিৎকারে চারপাশে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। স্থানীয়রা অটোরিকশাটিকে ধাওয়া করে প্রায় আধা কিলোমিটার দূরে গিয়ে আটক করেন চালককে।
আজ বুধবার (৫ নভেম্বর) সকালে ময়মনসিংহ–কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের চণ্ডীপাশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক চালকের নাম মো. আলমগীর হোসেন (৩৫), তিনি নেত্রকানার কেন্দুয়া উপজেলার কালিয়ান গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত আলমগীর বিবাহিত। কিছুদিন আগে মোবাইল ফোনে তার সঙ্গে নান্দাইলের মুক্তা বেগম (২২) নামে এক তরুণীর পরিচয় হয়। দুজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে পরিবারের পছন্দে অন্যত্র মুক্তার বিয়ে হয়ে গেলে বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি আলমগীর।
মুক্তার বড় বোন মীম জানান, কয়েকদিন আগে বোন মুক্তা বাবার বাড়িতে বেড়াতে এলে আলমগীরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিলেন। পরে বুধবার সকালে মীম আলমগীরের খোঁজ পেয়ে তার কাছে বোনের অবস্থান জানতে চাইলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আলমগীর জোর করে মীমকে সিএনজিতে তুলে দ্রুত চলে যেতে থাকেন। মীম বলেন, “চালক আলমগীর আমাকে সিএনজিতে তোলার পর হুমকি দিচ্ছিলেন যে, আঠারবাড়িতে নিয়ে গিয়ে মেরে ফেলবেন। তখনই আমি চিৎকার শুরু করি।”
নান্দাইল নতুনবাজার কলেজগেট এলাকায় পৌঁছানোর পর মীম প্রাণ বাঁচাতে চিৎকার শুরু করলে স্থানীয়রা অটোরিকশাটি ধাওয়া করেন। কিছু দূর গিয়ে তারা চালক আলমগীরকে আটক করতে সক্ষম হন।
অভিযুক্ত আলমগীর দাবি করেন, “আমি মুক্তাকে বিয়ে করেছি, আমাদের সংসারও চলছে। তার পরিবার আমাকে মারধর করেছিল। রাগের বশে মীমকে সিএনজিতে তুলি, অন্য কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।”
নান্দাইল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সরোজ মিয়া জানান, স্থানীয়দের সহায়তায় চালক আলমগীরকে আটক করা হয়েছে। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।