কুবিতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাংলা নববর্ষ উদযাপন
২৪ দিন আগে শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫

দীর্ঘ
পাঁচ বছর পর আবারও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) অনুষ্ঠিত হলো বাংলা নববর্ষের বর্ণাঢ্য
আয়োজন। সোমবার (১৪ এপ্রিল) দিনব্যাপী ‘বাংলা নববর্ষ ১৪৩২’ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়
ক্যাম্পাস ছিল উৎসবমুখর, প্রাণবন্ত। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের স্বতঃস্ফূর্ত
অংশগ্রহণে রঙিন হয়ে ওঠে পুরো ক্যাম্পাস।
উৎসবের
সূচনা হয় সকাল সাড়ে ৯টায়, ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলীর নেতৃত্বে এক
বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে। শোভাযাত্রাটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বৈশাখী
চত্বরে গিয়ে শেষ হয়, যেখানে বর্ষবরণ মেলা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রো-ভাইস
চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান, প্রক্টর
অধ্যাপক ড. মোঃ আবদুল হাকিম, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেনসহ অন্যান্য
শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীবৃন্দ।
সকাল
১০টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় মাঠে শুরু হয় বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক আয়োজন। ছেলেদের
জন্য আয়োজন করা হয় মোরগ লড়াই আর মেয়েদের জন্য ছিল মিউজিক্যাল চেয়ার প্রতিযোগিতা, যা
শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও আনন্দ ছড়িয়ে দেয়।
সকাল
সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। শিক্ষার্থীরা পরিবেশন করেন লোকগান, নৃত্য,
কবিতা আবৃত্তি ও নাটিকা। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ বাংলা নববর্ষকে ঘিরে
নিজ নিজ স্টলে পরিবেশন করে ঐতিহ্যবাহী পিঠাপুলি — পাটিসাপটা, চিতই, দুধচিটা, মালপোয়া
প্রভৃতি।
ভাইস
চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোঃ হায়দার আলী বলেন, “বাংলা নববর্ষ এদেশের সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের
মানুষের মিলনমেলা। এটি আমাদের জাতীয় সংস্কৃতির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই আয়োজন নতুন প্রজন্মের
মধ্যে দেশপ্রেম ও সংস্কৃতি চেতনা জাগ্রত করবে।”
প্রো-ভাইস
চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বলেন, “বাঙালির ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধরে রাখার
দায়িত্ব আমাদের সকলের। এমন আয়োজন সেই দায়িত্ব পালনকে আরও বেগবান করে।”
ট্রেজারার
প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, নতুন বছর আমাদের সামনে নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে
দিয়েছে। অতীতের অন্যায়-অবিচার থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্রের
পথে।
প্রায়
পাঁচ বছর পর কুবিতে এই আয়োজন হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা
গেছে। দিনভর চলা নানা আয়োজনে মুখর ছিল গোটা ক্যাম্পাস।
