অঙ্গীকার পূরণে এমপিরা ২০ কোটি করে টাকা পাচ্ছেন

Bortoman Protidin

১৮ দিন আগে শুক্রবার, মে ৯, ২০২৫


#

বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ১১টি প্রকল্প নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি আরও জানিয়েছেন, দেশের ১২টি সিটি করপোরেশন এলাকায় দৈনিক প্রায় ১৭ হাজার টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। এই বর্জ্যকে রিসাইক্লিং-এর মাধ্যমে দূষণ রোধসহ  সম্পদে রূপান্তর করার লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। 

গতকাল জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এসব তথ্য জানান। সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উপাদনের লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রাপ্ত ১৩টি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই শেষে ৪টি প্রস্তাব নির্বাচন করা হয়েছে। প্রস্তাবগুলোর বাস্তবায়ন চলছে। আর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬টি প্রস্তাব যাচাই-বাছাই চলছে। 

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকায় আমিন বাজার ল্যান্ডফিলে ইনসিনারেশন প্লান্ট নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ ছাড়া মেডিকেল বর্জ্য হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকায় একটি ইনসিনারেশন প্লান্ট স্থাপন ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন একটি সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর করা হয়েছে। একই প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী জানান, সিটি করপোরেশনে মোট উৎপাদিত বর্জ্যরে ৩৯ শতাংশ ঢাকা শহরে উৎপাদিত হয়। এরমধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে প্রায় ৩ হাজার ৬০০ টন ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৩ হাজার ২১৩ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়।রংপুর সিটি করপোরেশন এলাকায় সব থেকে কম ১২০ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়।

 তিনি আরও জানান, বাসা বাড়ি থেকে প্রতিদিন এসব বর্জ্য সংগ্রহ করে সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে জমা করা হয়। এরপর ট্রাকের মাধ্যমে তা ল্যান্ডফিলে ডাম্পিং করা হয়। বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নুর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম জানান, সংসদ সদস্যগণ নির্বাচনের আগে স্ব স্ব এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়নের বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে থাকেন। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়ে আসনপ্রতি ৫ বছরে মোট ২০ কোটি টাকা বরাদ্দের নির্দেশনা দেন। সেই আলোকে ইতিপূর্বে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। যা এখনো চলমান রয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন কাজ শেষ হলে নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান আসাদের প্রশ্নের জবাবে এলজিআরডি মন্ত্রী জানান, এলজিইডি’র আওতায় চলতি অর্থবছরে দেশব্যাপী পল্লী এলাকায় ৪ হাজার ৯৩০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ২১ হাজার মিটার ব্রিজ ও কালভার্ট নির্মাণ, ১৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ১৯ হাজার মিটার ব্রিজ ও কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ৯০টি গ্রোথ সেন্টার ও হাটবাজার উন্নয়ন, ৫০টি বহুমুখী সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, ২৫টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ, ৪০০ কিলোমিটার সেচ খাল খনন ও পুনঃখনন, ৫০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ ও সংস্কার, ১২০টি রেগুলেটর নির্মাণ ও সংস্কার, ১১০ কিলোমিটার বৃক্ষরোপণ ইত্যাদি কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এ সকল উন্নয়ন কাজ আগামী জুন মাসের মধ্যে সমাপ্ত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।

global fast coder
ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  

সর্বশেষ

#

আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে সমাবেশে ছাত্র-জনতার ঢল

#

ভয়ের কোনো কারণ নেই, আমাদের সীমান্ত সম্পূর্ণ নিরাপদ : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

#

সিভিল সার্জন সম্মেলন উদ্বোধন করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস

#

ফ্যাসিস্ট লীগের বিচার হবেই : তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম

#

বাংলাদেশিদের ভিসা চালুর বিষয়ে অগ্রগতি হওয়ায় ইউএই'কে ধন্যবাদ প্রধান উপদেষ্টার

#

জামায়াতের নায়েবে আমীর আব্দুল্লাহ মো. তাহেরের সঙ্গে চীনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

#

পূর্বানুমতি ছাড়া চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী গ্রেপ্তার না করার সুপারিশ করেছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন

#

সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশে আগের ৯টি ধারা বাতিল, মামলাও বাতিল হবে: আইন উপদেষ্টা

#

ঈদুল আজহায় ছুটি ১০ দিন: প্রেস সচিব

#

স্বাস্থ্য বিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশ দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

Link copied