স্ত্রীকে হত্যার পর লাশের সঙ্গে সেলফি
১১ মিনিট আগে সোমবার, ডিসেম্বর ১, ২০২৫
ভারতের তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটুরে এক নারীদের হোস্টেলের ভেতরে ঢুকে নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন এক ব্যক্তি। স্ত্রীকে হত্যার পর লাশের সঙ্গে সেলফি তুলে সেটি হোয়াটসঅ্যাপেও পোস্ট করেন। গত রোববারের (৩০ নভেম্বর) এই নির্মম হত্যাকাণ্ডে রাজ্যে নারী নির্যাতন ও নিরাপত্তা নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত নারীর নাম শ্রীপ্রিয়া। তিনি কোয়েম্বাটুরের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন। অভিযুক্ত স্বামীর নাম বালামুরুগান। তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহের কারণে ২ জন আলাদা থাকতেন। নিহত ওই নারী একটি হোস্টেলে থাকতেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, বালামুরুগান গত রোববার দুপুরে স্ত্রীকে দেখার অজুহাতে হোস্টেলে ঢোকেন। এ সময় তার কাপড়ের ভেতর একটি দা লুকিয়ে রেখেছিলেন।
তদন্তকারীরা জানান, দেখা হওয়ার পরপরই ২ জনের মধ্যে কথাকাটাকাটি শুরু হয়। একপর্যায়ে বালামুরুগান লুকিয়ে আনা দা বের করে শ্রীপ্রিয়াকে কোপাতে শুরু করেন এবং ঘটনাস্থলেই তাকে হত্যা করেন। পুলিশ বলছে, হত্যার পর তিনি স্ত্রীর নিথর দেহের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলেন এবং সেটি হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে আপলোড করেন। এ সময় ওই ব্যক্তি দাবি করেন— তার স্ত্রী নাকি তার সঙ্গে ‘প্রতারণা’ করেছেন। হত্যাকাণ্ডের সময় হোস্টেলের বাসিন্দারা চিৎকার করে বেরিয়ে আসেন। কিন্তু বালামুরুগান পালিয়ে যাননি; বরং ঘটনাস্থলেই দাঁড়িয়ে পুলিশের জন্য অপেক্ষা করেন। পুলিশ এসে তাকে গ্রেপ্তার করে এবং দা উদ্ধার করে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, ওই ব্যক্তি ধারণা করেছিলেন শ্রীপ্রিয়া অন্য ১ জনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িত। এ ঘটনায় তামিলনাড়ুতে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক নতুন করে তীব্র হয়েছে। বিরোধীরা ডিএমকে সরকারের বিরুদ্ধে নারীদের সুরক্ষায় ব্যর্থতা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অভিযোগ তুলছে। তাদের দাবি, রাজ্যে নৃশংস হত্যাকাণ্ড ও যৌন অপরাধ বেড়েই চলেছে। তবে ডিএমকে সরকার এবং রাজ্য পুলিশ বলছে, এসব ঘটনা বিচ্ছিন্ন এবং ব্যক্তিগত বিরোধ থেকে ঘটেছে। কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রতিটি ঘটনায় দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যাতে অপরাধীরা দ্রুত বিচার ও সর্বোচ্চ শাস্তি পায়।