ডিভোর্সের গুঞ্জন অবশেষে সত্যি হলো
২৪ দিন আগে রবিবার, ডিসেম্বর ৮, ২০২৪
দিন কয়েক ধরেই গুঞ্জনটা শোনা যাচ্ছিল। বিবাহবিচ্ছেদ হতে চলেছে অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির। যদিও প্রতি বারই জল্পনায় জল ঢালেন তিনি। কিন্তু শুক্রবার ফেসবুক লাইভে এসে আচমকাই কান্নায় ভেঙে পড়েন অভিনেত্রী। তার পরই দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের খবর দেন নায়িকা।
এরই মধ্যে তাঁরা আলাদা থাকা শুরু করেছেন। এ অভিনেত্রী নিজেই আজ রাতে এক ভিডিও বার্তায় জানিয়েছেন।
নিজের ফেসবুকে ভিডিও বার্তায় কেঁদে মাহি বলেন, আমরা দুজন মিলেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের মধ্যে কিছু বিষয় নিয়ে সমস্যা রয়েছে। তবে রকিব খুব ভালো মানুষ। তাকে আমি সম্মান করি। অনেক কেয়ারিং সে। খুব দ্রুতই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদে যাচ্ছি। কবে আর কীভাবে হবে, সেটিও দুজন মিলেই ঠিক করব।
কিন্তু কী কারণে সন্তান জন্মের মাস কয়েকের মধ্যেই স্বামীর থেকে আলাদা হচ্ছেন তিনি তা নিয়ে কিছু বলেননি তিনি ।
তিনি জানান, অনেক দিন ধরে তাঁরা আলাদা থাকছেন।
সাথে আরো বলেন, একটা ছাদের নিচে দুটি মানুষ কেন ভালো নেই, সেটা তারাই ভালো জানে। এটা বাইরের থেকে বোঝা যাবে না। আসলে সংসার কেন ভাঙে, কেন হাজবেন্ডের সঙ্গে থাকতে পারল না বা হাজবেন্ড কেন তাঁকে সহ্য করতে পারছে না। অথবা তাঁর ওয়াইফটা কেন তাঁর হাজবেন্ডকে সহ্য করতে পারছে না। অথবা দুজন কেন ভালো নাই। দুজনের মধ্যে আসলে কী ঝামেলা হয়েছে—এগুলো তো আমরা আসলে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বুঝব না। তাই আমরা কাউকে নিয়ে যেন জাজ না করি।
মাহি বলেন, আমি জানি এই ভিডিওটি দেখার পর অনেকেই আমাকে গালি দিবেন, অনেক বাজে কথা বলবেন। বিশ্বাস করেন আপনাদের কমেন্ট গুলো আমার কাছে তীরের মত আমার বুকে লাগবে।
ভিডিওর একপর্যায়ে মাহি তাঁর সন্তানকে নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য না করার অনুরোধ জানান নেটিজেনদের প্রতি। মাহি বলেন,আমার ছেলেকে নিয়েও আপনারা অনেকে খারাপ কমেন্ট করেন, সেগুলো দেখে মা হিসেবে আমার বুকটা ফেটে যায়। কোনো বাচ্চাকে নিয়ে এমন খারাপ কমেন্ট করবেন না সে যেমনি হোক না কেনো দেখতে ।
কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ও হয়তো এখন এসব বুঝতে পারে না; কিন্তু একসময় এসব বুঝবে, তখন নিশ্চয়ই কষ্ট পাবে। দয়া করে এসব করবেন না। আপনারা আমার ছেলে ফারিশের জন্য দোয়া করবেন, যেন ওকে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে পারি।