মাকে মনে পড়ে

Bartoman Protidin

১৮ দিন আগে বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৭, ২০২৫


#

প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মে মাসের দ্বিতীয় রোববার পালিত হচ্ছে বিশ্ব মা দিবস। ঢাকা পোস্ট এবারের মা দিবসে মায়ের স্মৃতিচারণে কিছু লেখার আহবান জানিয়েছে। সেই লেখা যদি কর্তৃপক্ষের ভালো লেগে যায় তাহলে লেখাটি হয়তো এই নির্ধারিত সংবাদমাধ্যমের ফিচার বিভাগে ছাপানোর কথা। এমন ভাবনা থেকে যে কেউ জন্মদাত্রী মাকে নিয়ে দুই লাইন লিখতে চাইবে কিন্তু কারো কারো পক্ষে এটা বেশ কঠিন। বিশেষ করে যে সন্তানের মা খুব সহসাই নিরবে কাউকে না বলে চলে গেছে দূর নক্ষত্রে ভিড়ে।

এক শোকাভিভূত অভিজ্ঞতা থেকে মাকে স্মরণ করছি। স্মরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধার সঙ্গে কারণ মা একজন সন্তানের জন্য কত বড় আর্শীবাদ সেটা সদ্য মা হারানো সন্তানের থেকে আর কে ভালো জানবে?

জন্মের পর থেকে শুরু করে শৈশব কৈশোর এবং যৌবনের প্রতিটি পর্যায়ে মা জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। মায়ের হাতে ভর দিয়ে পদচারণা শুরু, মায়ের চোখে পৃথিবী দেখা, গল্প শোনা, এলোমেলোভাবে কলম ধরে প্রথম কিছু একটা লিখতে চেষ্টা করা, আবার কখনো একটু ভয় পেয়ে মুরগির ছানার মতো বুকের মধ্যে লুকিয়ে পড়া, খানিক বাদে বের হয়ে আবার আকাশ দেখা, এমন অসংখ্য স্মৃতিতে জর্জরিত হয়ে তবেই তো একজন সন্তান বিকশিত হয়। আর এভাবেই মায়ের ছায়াতলে আমরা দিন দিন বড় হয় আর আমাদের মায়েরা ছোট হতে থাকে। মা নিজের সমস্ত কিছু বিসর্জন দিয়ে তার সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য, কল্যাণের জন্য ত্যাগের এক মহিমান্বিত উদাহরণ রচনা করে যায় প্রতিনিয়ত।

সন্তান মায়ের আশীর্বাদ নিয়ে বেরিয়ে পড়ে সমাজ গঠনের প্রতিশ্রুতি নিয়ে। আর এজন্যই বোধহয় মায়ের সঙ্গে সন্তানের সম্পর্কই একমাত্র স্বার্থহীন সম্পর্ক। তাই তো পৃথিবীর সব ধর্মেই মায়ের মর্যাদাকে অনেক উঁচুতে রাখা হয়েছে। ধর্ম, বর্ণ জাতি, গোষ্ঠী, সর্বত্রই মায়ের মর্যাদা সবার উপরে। এমনকী স্রষ্টার পক্ষ থেকেও কঠোর সতর্কবার্তা রয়েছে মায়ের মর্যাদার বিষয়ে। 

পৃথিবীতে মা বেঁচে থাকাটা সন্তানের জন্য যে কতোটা সাহসের, কতোটা অনুপ্রেরণার সেটা বোধহয় মাকে হারানোর পরেই বেশি অনুভব হয়। মা হচ্ছেন একটা সন্তানের কাছে এমন একটি ব্যাংক, যেখান থেকে যত খুশি ঋন নেয়া যায় কিন্তু সেই ঋন পরিশোধ না করলেও কোনো জেল-জরিমানা হয় না। 

এতো তাড়াতাড়ি মাকে হারিয়ে ফেলবো সেটা দুঃস্বপ্নেও ভাবিনি। মাসে দুই-একবার করে মায়ের সঙ্গে দেখা হতো। মায়ের চোখে আমি ছিলাম ভীষণ অবাধ্য, রোগা, না খেয়ে খেয়ে শুকিয়ে যাচ্ছি ইত্যাদি। ডায়াবেটিসের কারণে মা চোখে কম দেখতো অথচ সন্তানের চোখের নিচে কালো দাগ, বড় বড় চুল, কিংবা গলার নিচের হাড় এসব আর কেউ না দেখলেও কেবল মা-ই দেখতে পেতেন। ভালো-মন্দ কিছু খাবার নিয়ে পেছনে পেছনে এ ঘর থেকে ওই ঘরে যাওয়া, মায়ের এমন অসংখ্য ঘটনা প্রতিনিয়ত দাগ কেটে যাচ্ছে বুকের গভীরে। আল্লাহর কাছে আকুল আবেদন তিনি যেন মাকে তার জান্নাতের ছায়ায় আশ্রয় দেন। 

ইউটিউব সাবস্ক্রাইব করুন  
#

সফলতার সবচেয়ে বড় প্রেরণা ও বড় আশীর্বাদ হলেন মা

#

নির্বাচনের চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা জানালো ইসি

#

পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনতে ব্রিটিশ সরকারের সহযোগিতা চেয়েছেন ড. ইউনূস

#

হজযাত্রী নিবন্ধনের সময় ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাড়লো

#

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কর্তৃক বন্যার্তদের উদ্ধার ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমের সর্বশেষ পরিস্থিতি

#

বাংলাদেশে তুর্কি বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

#

ফুলের তোড়া পাঠিয়ে খালেদা জিয়াকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

#

তথ্যপ্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিতকরণে সরকার কাজ করছে: প্রধান উপদেষ্টা

#

বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

#

জাতীয় নির্বাচনের দিন গণভোট অনুষ্ঠিত হবে - প্রধান উপদেষ্টা

সর্বশেষ

#

কামরাঙ্গীরচরের কোম্পানি ঘাটে ব্রীজ নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে- স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

#

ভবন নিরাপত্তায় কঠোর ব্যবস্থা, নতুন আইন অনুমোদন দিল উপদেষ্টা পরিষদ

#

কড়াইল অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার

#

বিমানবন্দর কার্গো কমপ্লেক্সে ১২ হাজার কোটি টাকার ক্ষতি—কারণ বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট

#

উপদেষ্টা পরিষদে গণভোট অধ্যাদেশ পাস

#

ভূমিকম্পের প্রস্তুতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

#

আসন্ন নির্বাচন সফল করতে কমনওয়েলথের সহযোগিতা প্রত্যাশা প্রধান উপদেষ্টার

#

প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ভুটানের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান ড. ইউনূস

#

নির্বিঘ্ন ও উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীকে পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

#

শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজনে সামরিক বাহিনী ও পুলিশের সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

Link copied