কেএনএফ পাহাড়ে শান্তি রক্ষায় বড় বাধা
১০ দিন আগে রবিবার, অক্টোবর ১৩, ২০২৪
আলীকদম থানা এলাকায় হামলা চালিয়েছে। এইসব ঘটনায় আমরা বিস্মিত। কারণ, পাহাড়ি এলাকা এবং ওই ধরনের গোষ্ঠী যেখানে তৎপর থাকে, সেখানে নিরাপত্তা পরিকল্পনা থাকে, গোয়েন্দা তৎপরতা থাকে।
সেখানে আমি বলবো, আমরা পুরোপুরি ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছি। মিয়ানমারের রাখাইনে যুদ্ধ চলছে। তার সীমান্তে আলীকদম। আমাদের কোনো হিসাব থাকবে না? তার কথা, এই কুকি-চীনরা বাংলাদেশ, ভারত, মিয়ানমার এবং চীনের সঙ্গে যুক্ত। তাদেরকে হালকাভাবে নেয়া হয়েছে। আমার মনে হয়, এই অঞ্চলে মিয়ানমার ও ভারতের মিজোরাম ও মনিপুরে যে সংকট চলছে, তার কোনো সূত্র বান্দরবানে হামলার সঙ্গে থাকতে পারে।
তিনি মনে করেন, টাকার জন্য তাদের ব্যাংক লুট করতে হয় না। ওই এলাকায় যে পরিমাণ চাঁদা ওঠে, তাই যথেষ্ট। একটি উপজেলার ব্যাংকে কত টাকা থাকতে পারে তা তাদের জানা। তারা আমার মনে হয় শক্তির মহড়া দিচ্ছে। তারা পাশের দেশগুলোকেও শক্তির জানান দিতে চায়।
মেজর জেনারেল (অব.) এ কে মোহাম্মদ আলী শিকদার বলেন, রুমায় ব্যাংকে পুলিশ ছিল। থানচিতে ব্যাংকের পাশেই পুলিশ ও বিজিবির ক্যাম্প ছিল। কিন্তু কোথাও আমরা প্রতিরোধের কোনো খবর পাইনি। এতে স্পষ্ট যে, যারা ওখানে ছিলেন, তাদের মধ্যে সেই ধরনের মনোবল ছিল না। ফলে তারা কোনো বাধা দেয়নি। তাদের অস্ত্র লুট করেছে, ব্যাংক লুট করেছে, আর রুমায় ডাকাতি হওয়ার পর পুরো জেলার ব্যাংকেই তো নিরাপত্তা জোরদার করার উচিত ছিল।
জেনারেল আব্দুর রশিদ বলেন, একটি সমঝোতা করার পর সব নিরাপত্তা ঢিলেঢালা করে দেয়া হলো। রিস্ক অ্যাসেসমেন্ট করা হলো না, এটা মেনে নেয়া যায় না।
এই তিন জনই মনে করেন, পাহাড়ে কুকি-চীনের এই তৎপরতায় অন্য সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোও উৎসাহিত হতে পারে। জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমার সঙ্গে শাস্তি চুক্তি হলেও পাহাড়ে এখনো কমপক্ষে পাঁচটি বড় গ্রুপ সক্রিয়। আর কুকি-চীনদের ব্যাপারে ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা করে কাজ করা উচিত বলেও মনে করেন তারা।